বৈশাখের শেষ দিকে এসে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে, এতে আরও কমবে তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার (৭ মে) দেশের আকাশে মেঘের আনাগোনা একটু কম। সকাল থেকে ঢাকার আকাশে অনেকটা বাধাহীন খেলছে রোদ। বৃহস্পতিবার (৬ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায়, ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। আর তাপমাত্রা তাপপ্রবাহের মাপকাঠি না পেরোলেও, বাতাসে জলীয় বাষ্পের কারণে অস্বস্তি থাকবে।
শুক্রবার দুপুরে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকালের (বৃহস্পতিবার) তুলনায় আজকে (শুক্রবার) তাপমাত্রা একটু বাড়বে। আগামীকাল থেকে (শনিবার) আবার কমতে থাকবে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বেড়ে আপাতত তাপপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা কম। শনিবার থেকে ঢাকাসহ সারাদেশেই ঝড়-বৃষ্টিটা বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘এখন গরম কাল, তাপমাত্রা কম থাকলেও বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় একটা অস্বস্তি ভাব থাকবে। ঝড়-বৃষ্টি হলেও আবার এটা কেটে যায়।’
শুক্রবার গ্রীষ্মের প্রথম মাস বৈশাখের ২৪ তারিখ। আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রংপুরে, সেখানে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে তেতুলিয়া ও রাজারহাটে ৩৮ মিলিমিটার করে এবং ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও যশোরে ২৮, ডিমলায় ৯, বরিশালে ৮ মিলিমিটারসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
সূত্র: জাগো নিউজ